Naresh Goyal, Jet Airways: শেষ সব আশা, তার থেকে জেলে মৃত্যুই ভালো’- জেট এয়ারওয়েজ প্রতিষ্ঠাতার বিনীত নিবেদন আদালতের কাছে

Naresh Goyal, Jet Airways: শেষ সব আশা, তার থেকে জেলে মৃত্যুই ভালো’- জেট এয়ারওয়েজ প্রতিষ্ঠাতার বিনীত নিবেদন আদালতের কাছে

গত ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ জেট এয়ারওয়েজ প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েলকে ৫৩৮ কোটি টাকা ব্যাংক প্রতারণা মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করে। শোনা যায় মুম্বাইয়ের একটি ব্যাংক তার বিরুদ্ধে ৫৩৮ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়ের করে একটি নির্দিষ্ট থানায়, তার পরেই নড়ে চড়ে বসেন পুলিশ প্রশাসন।

৫৩৮ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট তথা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তিনি আর্থার রোড জেলে বন্দি এখনো। গত ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ তাকে মুম্বাইয়ের একটি বিশেষ আদালতে পেশ করলে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন জেট এয়ারওয়েজ প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল। আদালতে বিচারকের কাছে সময় চেয়েছিলেন ব্যক্তিগত কিছু কথা বলার জন্য। বিচারক তাতে সম্মতি দেন। 

আদালতে বিচারককে সত্তর বছরের নরেশ গোয়েল জানান, বর্তমানে তার শরীরের যা অবস্থা তাকে হাসপাতালে ভর্তি না করালে এভাবেই জেলে বন্দি থেকে মরে যাওয়াই ভালো।

আদালতে জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী অনিতার শারীরিক অবস্থাও সঙ্কটজনক, ক্যানসারের ‘অ্যাডভান্সড স্টেজ’। স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়েও তিনি খুবই উদ্বিগ্ন এবং তার মেয়েও অসুস্থ। তাই সব দিক বিবেচনা করে তাকে যেন জামিন দেওয়া হয় বলে বিচারক এম জি দেশপাণ্ডের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। গত ৬ জানুয়ারি তাকে যখন আদালতে হাজির করানো হয়, শুনানি শুরু হতেই নরেশ গোয়েল বিচারকের কাছে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলার জন্য অনুমতি চান। বিচারক তাতে সম্মতিও দেন।

আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, যে কয়েক মিনিট ব্যক্তিগত সময় পেয়েছিলেন নরেশ গোয়েল। সেই সময়ে তিনি নিজের এবং স্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বিচারকের কাছে হাতজোড় করে আবেদন জানান জেট এয়ারওয়েজ প্রতিষ্ঠাতা। তিনি যে সময় এই কথাগুলি বলছিলেন, সেই সময় তাঁর সমস্ত শরীর থরথর করে কাঁপছিল। নরেশ গোয়েল আদালতে জানান, তাঁর স্ত্রীর অবস্থা সঙ্কটজনক ও মেয়েও অসুস্থ। জেলের কর্মীরা তাঁকে ঠিক মতো সহযোগিতা করছে না বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

Read More Articles

আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, নরেশেরে প্রস্রাবের সমস্যা। মাঝেমধ্যে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়ে। হাঁটুর সমস্যার জন্য ঠিক মতো দাঁড়াতে পারেন না। আদালতে নরেশ জানান, তাঁর স্বাস্থ্যও সঙ্কটজনক হয়ে উঠছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে জেজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে না। তাই তার আবেদন এই অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে জেলে ‘মরার’ অনুমতি দিক আদালত।

Leave a Comment